ঢাকা ১০:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপজেলা নির্বাচনঃ মুলাদীতে চেয়ারম্যান পদে মানুষের আস্থা ‘তরিকুল হাসান খান মিঠু’ ঝালকাঠি উপজেলা নির্বাচন সহিংস নির্বাচনী পরিবেশ , নিরাপত্তাহীনতায় চেয়ারম্যান প্রার্থী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রতিটা পৌরসভায় গোলাম মোঃনাছির এর মতো সৎ জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রতিটা পৌরসভায় গোলাম মোঃনাছির এর মতো সৎ জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রতিটা পৌরসভায় গোলাম মোঃনাছির এর মতো সৎ জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রতিটা পৌরসভায় গোলাম মোঃনাছির এর মতো সৎ জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রতিটা ইউনিয়নে কাজী আব্দুল মজিদ এর মতো সৎ জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রতিটা ইউনিয়নে কাজী আব্দুল মজিদ এর মতো সৎ জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রতিটা ইউনিয়নে কাজী আব্দুল মজিদ এর মতো সৎ জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রতিটা ইউনিয়নে কাজী আব্দুল মজিদ এর মতো সৎ জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন

শিবির নেতা সাইফুলের অত্যাচার অতিষ্ঠ মাটিকাটা, মানিকদিবাসী !

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ৬১ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক দূরাবস্থার কারণে ভাষাণটেক, ক্যান্টনমেন্ট থানার এলাকার দেওয়ান পাড়া, মাটিকাটা, মানিকদি এলাকার অধিবাসীরা অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করতো। এলাকায় যাতায়াতের জন্য তেমন কোন রাস্তা না থাকায় অত্র এলাকা শিক্ষার আলো থেকে বি ত ছিলো। এ জন্য দরিদ্র জনগোষ্টীর একমাত্র জীবিকা ছিলো কৃষিকাজ ও মৎস্য চাষ। বর্ষায় এলাকা প্লাবিত হওয়ার কারণে জমিতে একমাত্র বোরোধান ছাড়া কোন ফসল হতোনা। বছরের নয় মাস জমিতে ৫/৬ হাত পানিতে ডুবে থাকতো। সরল সহজ দরিদ্র জনগোষ্ঠির কারণে এলাকায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বাংলামদজাতীয় মাদক, জুয়াসহ নানা প্রকার অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলো। ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অধিকাংশ সদস্য এই এলাকা থেকে সৃষ্টি হয়েছিলো।

এজন্য মানিকদি ভাষাণটেককে সন্ত্রাসীদের আতুড় ঘর বলা হতো। সাধারণ জনগণ এসব সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে জিম্মি হয়ে পড়েছিলো। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধনমনন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর ডিওএইচএস পর্যন্ত ১৫০ ফুট চওড়া রাস্তা হওয়ার কারণে অত্র এলাকার চিত্র দ্রæত পরিবর্তন হতে থাকে জমির দাম প্রায় ১০০ গুন বৃদ্ধি পায়। লক্ষীপুর জেলা রামগঞ্জ থানাধীন উদনপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র আবু তাহের ভূইয়ার পুত্র সাইফুল ইসলাম।

স্কুল জীবনেই শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে। দরিদ্র বাবার অভারের সংসারে লেখাপড়া বেশিদূর এগোতে না পেরে ভাষাণটেক বস্তিতে বসবাসকারী ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী বড় ভাই নাজিম উদ্দিনের কাছে এসে ভাঙ্গারী ব্যবসার আড়ালে বাংলা মদের ব্যবসা শুরু করে সাইফুল। ভাষাণটেক ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকার জামাত নেতাদের আশে পাশে থেকে মতিউর রহমান নিজামী সহ শীর্ষ নেতাদের ¯েœহ ধন্য হয়ে কাজ করতে থাকে। যুদ্ধাপরাধের বিচারে বাধা সৃষ্টি করতে শিবির নেতা সাইফুলের নেতৃত্বে মতিউর রহমান নিজামী,। কাদের মোল্লা, আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসি ঠেকাতে মিছিল, মিটিং বোমাবাজীসহ নানা প্রকার বে-আইনী কাজে জড়াতে থাকে। এদিকে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাস, ইব্রাহিমসহ অন্যান্য শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সাথে মাদক ব্যবসায় সহযোগীতা ও অস্ত্র ব্যবসা দ্বারা দরিদ্র সাইফুর লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে থাকে। এদিকে সন্ত্রাসীদের জন্ম ভূমি/আতুড় ঘর ভাষাণটেক, মানিকদি এলাকা থেকে সরকার একে একে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জেল খানায় ঢুকালেও চালাক সাইফুল রাতারাতি লেবাস পাল্টে দাঁড়ি রেখে ঈমানদারের বেশ ধারণ করেন।

ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন দক্ষিন মানিকদি, ইসিবি চত্বরসহ জোয়ার সাহারা মৌজার নি¤œা ল সাইফুলের নজরে আসে। বড় ভাইয়ের সহযোগীতায় নিউগিনি প্রপার্টিজ নামক ডেভলপার কোম্পানির আড়ালে সহজ সরল অশিক্ষিত নিরীহ লোকদের জলাশয় একে একে সাইন বোর্ড লাগিয়ে দখল করতে থাকে। রাতের আধারে শত শত ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটিভরাট করে একে একে দখল করে ২০ বিঘা জমি। প্রতিবাদ করলে কিলার আব্বাস ও কিলার ইব্রাহিমের ভয় দেখিয়ে এলাকার মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখে। কেউ প্রতিবাদ করলে রাতের আধারে গুলি করে লাশ গুম করে রাখে। এভাবে জাতীয় পাটির নেতা দিপু খান সহ প্রায় অর্ধ ডজন খুনের নেতা সাইফুল ও তার ভাই নাজিম উদ্দিন।

অবৈধ ভাবে দখল করা জমি প্লট আকারে বিক্রি করতে থাকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর অবসর প্রাপ্ত সদস্যদের কাছে। শিবির নেতা নাজিম সাইফুলের জীবন দ্রæত বদলে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হতে থাকে। শত শত কোটি নিরীহ জমির মালিক তাদের জমির কাছে যেতে পারেনা। সাইফুলের অবৈধ কর্মকান্ডে ও জামাতের অর্থায়নের খবর দেশের প্রায় দশটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ পায়। এটিএন বাংলা ও জিটিভিসহ প্রায় ৫টি টেলিভিশনে লাইভে সাইফুল নাজিমের অত্যাচারের সাক্ষাৎকার সহ সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার করা হয়। এলাকার হাজার হাজার লোকের চলাচলের রাস্তার মাঝখানে রাতের অন্ধকারে পাকা ঘর তুলে মসজিদের সাইন বোর্ড লাগিয়ে বিশাল এলাকায় আরও ১০ বিঘা জমির জবর দখল করে দেশীয় ও অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে পালাক্রমে দিনরাত ২৪ ঘন্টা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে পাহারা দিতে থাকে। দিনের বেলায়ও কেউ ঐ দিকে পা বাড়ায় না। সাইফুল বাহিনীতে রয়েছে শামীম, তাজুল, রেজাউল, সাগর, হানিফ, নয়ন, মিলনসহ শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে গড়ে উঠেছে সাইফুল বাহিনী।

এদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদের সাহস পায়না। সাইফুল বাহিনীর নামে শুধুমাত্র ক্যান্টনমেন্ট থানায় রয়েছে ক্যান্টনমেন্ট থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ফারুক হত্যাসহ প্রায় ত্রিশটি মামলা ও অর্ধশতাধিক সাধারণ ডায়েরী। এসব মামলায় আদালত থেকে জামিনে এসে অভিযোগকারীকে ধরে নিয়ে সাইফুলের টর্চার সেলে নিয়ে নির্মম ভাবে অত্যাচার করা হয়। এজন্য এদের বিরুদ্ধে এখন আর কেউ অভিযোগের সাহস পায়না। সাইফুল নাজিম প্রায় বিশটি চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী বিরোধী আইন ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হত্যা চেষ্টা মামলায় সাইফুলের বড়ভাই নাজিম উদ্দিনসহ অন্যান্য সদস্য একাধিবার জেল খাটলেও অস্ত্রবাজী, দখলবাজী, রগকাটা, অবৈধ ব্যবসাসহ মেয়েদেরকে টাকার লোভে নানা প্রকার অসামাজিক কর্মকান্ডসহ মহিলা সন্ত্রাসী গ্রæপ গড়ে তুলেছে সাইফুল নাজিম। দিনের বেলায় এসব নারীদেরকে অস্ত্রহাতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করায় সাইফুল ও নাজিম, আর রাতের বেলায় চলে মাদক বেচা- কেনা সহ অসামাজিক কর্মকান্ড। বিভিন্ন এলাকার বিত্ত¡বান ছেলেদেরকে নারী ও মাদকে আসক্ত করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করে ব্ল্যাকমেইলিং এর মাধ্যমে।

সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলেও জানা যায় বনানী থানার সন্ত্রাসী বিরোধী মামলায় সাইফুলের বড়ভাই নাজিম উদ্দিনের জেল থানায় বন্দী। শিবির নেতা সাইফুলের খোঁজ এলাকায় লোকদের কাছে জিজ্ঞেস করলে কেউ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না। ভূক্তভোগী সেনাবাহিনীর আবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হোসেনের সাক্ষাৎকারে বলেন, অবসর প্রাপ্ত মেজর জেনারেল মাহাবুবসহ আমরা প্রায় ১৫০ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী সদস্য মিলে প্রায় ২৫ কাঠা জমি ক্রয় করি।

উক্ত জমি সাইফুল বাহিনী জোরপূর্বক দখল করে। আমি এর প্রতিবাদ করলে সাইফুল বাহিনী আমাকে হত্যার চেষ্ঠা করলে আমি ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা নং-৬(৪)২০২৩ দায়ের করলে সাইফুলের ভাই নাজিম উদ্দিন জেল খাটে। বর্তমানে নাজিম সহ প্রায় ৫/৬ জন সন্ত্রাসী কারাভোগ করছে। বর্তমানে সাইফুল ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা নং-০৭(১১)২০২৩ এ পলাতক আছে। সাইফুলের ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিয়ে ফোন বন্ধ পাওয়ায় জানা সম্ভব হয়নি। নাম না প্রকাশে একজন জানান শীর্ষ সন্ত্রাসী আব্বাস, ইব্রাহিম জেলখানায় থাকলেও তাদের সন্ত্রাসী গ্রুপে সেকেন্ডইন কমান্ড সাইফুলের ইশারায় এলাকায় জমি বিক্রি ভবন নির্মাণ, ছেলে মেয়ের বিবাহ সহ সব কাজেই সাইফুল বাহিনীকে চাঁদা দিতে হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

শিবির নেতা সাইফুলের অত্যাচার অতিষ্ঠ মাটিকাটা, মানিকদিবাসী !

আপডেট সময় : ০১:৪৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক দূরাবস্থার কারণে ভাষাণটেক, ক্যান্টনমেন্ট থানার এলাকার দেওয়ান পাড়া, মাটিকাটা, মানিকদি এলাকার অধিবাসীরা অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করতো। এলাকায় যাতায়াতের জন্য তেমন কোন রাস্তা না থাকায় অত্র এলাকা শিক্ষার আলো থেকে বি ত ছিলো। এ জন্য দরিদ্র জনগোষ্টীর একমাত্র জীবিকা ছিলো কৃষিকাজ ও মৎস্য চাষ। বর্ষায় এলাকা প্লাবিত হওয়ার কারণে জমিতে একমাত্র বোরোধান ছাড়া কোন ফসল হতোনা। বছরের নয় মাস জমিতে ৫/৬ হাত পানিতে ডুবে থাকতো। সরল সহজ দরিদ্র জনগোষ্ঠির কারণে এলাকায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বাংলামদজাতীয় মাদক, জুয়াসহ নানা প্রকার অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলো। ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অধিকাংশ সদস্য এই এলাকা থেকে সৃষ্টি হয়েছিলো।

এজন্য মানিকদি ভাষাণটেককে সন্ত্রাসীদের আতুড় ঘর বলা হতো। সাধারণ জনগণ এসব সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে জিম্মি হয়ে পড়েছিলো। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধনমনন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর ডিওএইচএস পর্যন্ত ১৫০ ফুট চওড়া রাস্তা হওয়ার কারণে অত্র এলাকার চিত্র দ্রæত পরিবর্তন হতে থাকে জমির দাম প্রায় ১০০ গুন বৃদ্ধি পায়। লক্ষীপুর জেলা রামগঞ্জ থানাধীন উদনপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র আবু তাহের ভূইয়ার পুত্র সাইফুল ইসলাম।

স্কুল জীবনেই শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে। দরিদ্র বাবার অভারের সংসারে লেখাপড়া বেশিদূর এগোতে না পেরে ভাষাণটেক বস্তিতে বসবাসকারী ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী বড় ভাই নাজিম উদ্দিনের কাছে এসে ভাঙ্গারী ব্যবসার আড়ালে বাংলা মদের ব্যবসা শুরু করে সাইফুল। ভাষাণটেক ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকার জামাত নেতাদের আশে পাশে থেকে মতিউর রহমান নিজামী সহ শীর্ষ নেতাদের ¯েœহ ধন্য হয়ে কাজ করতে থাকে। যুদ্ধাপরাধের বিচারে বাধা সৃষ্টি করতে শিবির নেতা সাইফুলের নেতৃত্বে মতিউর রহমান নিজামী,। কাদের মোল্লা, আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসি ঠেকাতে মিছিল, মিটিং বোমাবাজীসহ নানা প্রকার বে-আইনী কাজে জড়াতে থাকে। এদিকে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাস, ইব্রাহিমসহ অন্যান্য শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সাথে মাদক ব্যবসায় সহযোগীতা ও অস্ত্র ব্যবসা দ্বারা দরিদ্র সাইফুর লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে থাকে। এদিকে সন্ত্রাসীদের জন্ম ভূমি/আতুড় ঘর ভাষাণটেক, মানিকদি এলাকা থেকে সরকার একে একে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জেল খানায় ঢুকালেও চালাক সাইফুল রাতারাতি লেবাস পাল্টে দাঁড়ি রেখে ঈমানদারের বেশ ধারণ করেন।

ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন দক্ষিন মানিকদি, ইসিবি চত্বরসহ জোয়ার সাহারা মৌজার নি¤œা ল সাইফুলের নজরে আসে। বড় ভাইয়ের সহযোগীতায় নিউগিনি প্রপার্টিজ নামক ডেভলপার কোম্পানির আড়ালে সহজ সরল অশিক্ষিত নিরীহ লোকদের জলাশয় একে একে সাইন বোর্ড লাগিয়ে দখল করতে থাকে। রাতের আধারে শত শত ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটিভরাট করে একে একে দখল করে ২০ বিঘা জমি। প্রতিবাদ করলে কিলার আব্বাস ও কিলার ইব্রাহিমের ভয় দেখিয়ে এলাকার মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখে। কেউ প্রতিবাদ করলে রাতের আধারে গুলি করে লাশ গুম করে রাখে। এভাবে জাতীয় পাটির নেতা দিপু খান সহ প্রায় অর্ধ ডজন খুনের নেতা সাইফুল ও তার ভাই নাজিম উদ্দিন।

অবৈধ ভাবে দখল করা জমি প্লট আকারে বিক্রি করতে থাকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর অবসর প্রাপ্ত সদস্যদের কাছে। শিবির নেতা নাজিম সাইফুলের জীবন দ্রæত বদলে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হতে থাকে। শত শত কোটি নিরীহ জমির মালিক তাদের জমির কাছে যেতে পারেনা। সাইফুলের অবৈধ কর্মকান্ডে ও জামাতের অর্থায়নের খবর দেশের প্রায় দশটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ পায়। এটিএন বাংলা ও জিটিভিসহ প্রায় ৫টি টেলিভিশনে লাইভে সাইফুল নাজিমের অত্যাচারের সাক্ষাৎকার সহ সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার করা হয়। এলাকার হাজার হাজার লোকের চলাচলের রাস্তার মাঝখানে রাতের অন্ধকারে পাকা ঘর তুলে মসজিদের সাইন বোর্ড লাগিয়ে বিশাল এলাকায় আরও ১০ বিঘা জমির জবর দখল করে দেশীয় ও অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে পালাক্রমে দিনরাত ২৪ ঘন্টা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে পাহারা দিতে থাকে। দিনের বেলায়ও কেউ ঐ দিকে পা বাড়ায় না। সাইফুল বাহিনীতে রয়েছে শামীম, তাজুল, রেজাউল, সাগর, হানিফ, নয়ন, মিলনসহ শতাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে গড়ে উঠেছে সাইফুল বাহিনী।

এদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদের সাহস পায়না। সাইফুল বাহিনীর নামে শুধুমাত্র ক্যান্টনমেন্ট থানায় রয়েছে ক্যান্টনমেন্ট থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ফারুক হত্যাসহ প্রায় ত্রিশটি মামলা ও অর্ধশতাধিক সাধারণ ডায়েরী। এসব মামলায় আদালত থেকে জামিনে এসে অভিযোগকারীকে ধরে নিয়ে সাইফুলের টর্চার সেলে নিয়ে নির্মম ভাবে অত্যাচার করা হয়। এজন্য এদের বিরুদ্ধে এখন আর কেউ অভিযোগের সাহস পায়না। সাইফুল নাজিম প্রায় বিশটি চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী বিরোধী আইন ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হত্যা চেষ্টা মামলায় সাইফুলের বড়ভাই নাজিম উদ্দিনসহ অন্যান্য সদস্য একাধিবার জেল খাটলেও অস্ত্রবাজী, দখলবাজী, রগকাটা, অবৈধ ব্যবসাসহ মেয়েদেরকে টাকার লোভে নানা প্রকার অসামাজিক কর্মকান্ডসহ মহিলা সন্ত্রাসী গ্রæপ গড়ে তুলেছে সাইফুল নাজিম। দিনের বেলায় এসব নারীদেরকে অস্ত্রহাতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করায় সাইফুল ও নাজিম, আর রাতের বেলায় চলে মাদক বেচা- কেনা সহ অসামাজিক কর্মকান্ড। বিভিন্ন এলাকার বিত্ত¡বান ছেলেদেরকে নারী ও মাদকে আসক্ত করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করে ব্ল্যাকমেইলিং এর মাধ্যমে।

সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলেও জানা যায় বনানী থানার সন্ত্রাসী বিরোধী মামলায় সাইফুলের বড়ভাই নাজিম উদ্দিনের জেল থানায় বন্দী। শিবির নেতা সাইফুলের খোঁজ এলাকায় লোকদের কাছে জিজ্ঞেস করলে কেউ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না। ভূক্তভোগী সেনাবাহিনীর আবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট বাবুল হোসেনের সাক্ষাৎকারে বলেন, অবসর প্রাপ্ত মেজর জেনারেল মাহাবুবসহ আমরা প্রায় ১৫০ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী সদস্য মিলে প্রায় ২৫ কাঠা জমি ক্রয় করি।

উক্ত জমি সাইফুল বাহিনী জোরপূর্বক দখল করে। আমি এর প্রতিবাদ করলে সাইফুল বাহিনী আমাকে হত্যার চেষ্ঠা করলে আমি ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা নং-৬(৪)২০২৩ দায়ের করলে সাইফুলের ভাই নাজিম উদ্দিন জেল খাটে। বর্তমানে নাজিম সহ প্রায় ৫/৬ জন সন্ত্রাসী কারাভোগ করছে। বর্তমানে সাইফুল ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা নং-০৭(১১)২০২৩ এ পলাতক আছে। সাইফুলের ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিয়ে ফোন বন্ধ পাওয়ায় জানা সম্ভব হয়নি। নাম না প্রকাশে একজন জানান শীর্ষ সন্ত্রাসী আব্বাস, ইব্রাহিম জেলখানায় থাকলেও তাদের সন্ত্রাসী গ্রুপে সেকেন্ডইন কমান্ড সাইফুলের ইশারায় এলাকায় জমি বিক্রি ভবন নির্মাণ, ছেলে মেয়ের বিবাহ সহ সব কাজেই সাইফুল বাহিনীকে চাঁদা দিতে হয়।