ঢাকা ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রতিটা ইউনিয়নে কাজী আব্দুল মজিদ এর মতো সৎ জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রতিটা ইউনিয়নে কাজী আব্দুল মজিদ এর মতো সৎ জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রতিটা ইউনিয়নে কাজী আব্দুল মজিদ এর মতো সৎ জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রতিটা ইউনিয়নে কাজী আব্দুল মজিদ এর মতো সৎ জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রতিটা ইউনিয়নে কাজী আব্দুল মজিদ এর মতো সৎ জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রতিটা ইউনিয়নে বাদশা মিয়া এর মতো সৎ জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রতিটা ইউনিয়নে বাদশা মিয়া এর মতো সৎ জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রতিটা ইউনিয়নে বাদশা মিয়া এর মতো সৎ জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রতিটা ইউনিয়নে বাদশা মিয়া এর মতো সৎ জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রতিটা ইউনিয়নে বাদশা মিয়া এর মতো সৎ জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন

অবশেষে একই মঞ্চে চাচা-ভাতিজা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৮:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ৬৯ বার পড়া হয়েছে
অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেস্ক রিপোর্টঃ

অবশেষে একই মঞ্চে পাশাপাশি বসলেন সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত ও সাবেক মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।

এপ্রিলের মাঝামাঝি বরিশাল সিটি করপোরেশনের মনোনয়ন নিয়ে বিরোধের পর এই প্রথম প্রকাশ্যে একসঙ্গে দেখা গেল দুজনকে। সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা এ দুজন বিসিসির মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত নৌকা পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন খোকন সেরনিয়াবাত।

২৯ ডিসেম্বর বরিশালে আসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার আগমন সফল করতে শনিবার অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের বরিশাল বিভাগীয় বর্ধিত সভা। এ সভাতেই একত্র হন খোকন-সাদিক। দলীয় সভাপতির জনসভায় ১০ লাখ লোক সমাগমের সিদ্ধান্ত হয় সেখানে।

সিটি নির্বাচনের সময় থেকেই খোকন-সাদিক গ্রুপে ভাগ হয়ে আছে বরিশাল আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচনের পুরো সময় বরিশালে আসেননি সাদিক আব্দুল্লাহ। ভোটে চাচা খোকনের বিরুদ্ধে কাজ করার অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে। স্বয়ং খোকন নিজেও সে সময় বহুবার ওই অভিযোগ করেন।

নির্বাচনের পর বরিশালে এসে নগর সম্পাদকের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনে মনোনিবেশ করেন সাদিক। দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার পর খোকনও নেমে পড়েন নগর উন্নয়ন কাজে। তবে সব স্বাভাবিক মনে হলেও দুপক্ষের বিরোধের আঁচ ঠিকই উত্তাপ ছড়াতে থাকে নগরে। পালটাপালটি দলীয় কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে এর জানান দিতে থাকেন। এভাবে রেখেঢেকে চলা বিরোধের বিস্ফোরণ ঘটে শেখ হাসিনার বরিশালে আসার কর্মসূচি ঘোষণার পর।

কর্মসূচি সফলে বুধবার স্থানীয় সার্কিট হাউজে বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগ নেতারা। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা মঞ্চে যাতে সাদিককে উঠতে দেওয়া না হয় তার দাবি জানান বরিশাল-৫ আসনের এমপি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামিম। তার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করে সাদিক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

স্থানীয় রাজনীতিতে মেয়র খোকনের ঘনিষ্ঠ জাহিদের এ দাবির পাশাপাশি সাদিক অনুসারী নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীরকেও মঞ্চে উঠতে না দেওয়ার দাবি ওঠে। এ খবর ছড়ালে আবারও উত্তেজনা দেখা দেয় দুপক্ষে। এছাড়া গত এক সপ্তাহে জাহিদ ও সাদিক অনুসারীদের কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হন দলের অন্তত ১১ নেতাকর্মী।

চাচা-ভাতিজার এ বিরোধের মধ্যেই শনিবার নগরের বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ বিশেষ বর্ধিত সভা। বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন এমপি, বিসিসি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত ও সাবেক মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহ।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং সদ্য আওয়ামী লীগে আসা শাহজাহান ওমরসহ বরিশাল বিভাগের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রায় সব এমপি, জেলা-উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক, জেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং পৌর মেয়ররা উপস্থিত ছিলেন।

সঞ্চালনা করেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি তালুকদার মো. ইউনুস। সভায় বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনি জনসভা সফলে প্রয়োজনীয় নানা বিষয় আলোচনা হয়। সবাই একমত হন, সমাবেশে ১০ লাখ লোক সমাগমের টার্গেট নিয়ে কাজ করবেন নেতাকর্মীরা।

সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফলে একটি কমিটি গঠন করেন। আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে প্রধান সমন্বয়ক করা হয়। এছাড়া সমন্বয়ক করা হয় খোকন সেরনিয়াবাত, জাহিদ ফারুক, একেএম জাহাঙ্গীর, দলের জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার এবং সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে। যোগাযোগ ও আপ্যায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তালুকদার মো. ইউনুস এবং লস্কর নুরুল হককে।

এছাড়া কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব উদ্দিন আহম্মেদ বীরবিক্রম, নগর সভাপতি একেএমএ জাহাঙ্গীর এবং নগর সহসভাপতি আফজালুল করিমকে শৃঙ্খলা কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

অবশেষে একই মঞ্চে চাচা-ভাতিজা

আপডেট সময় : ১২:৩৮:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩

ডেস্ক রিপোর্টঃ

অবশেষে একই মঞ্চে পাশাপাশি বসলেন সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত ও সাবেক মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।

এপ্রিলের মাঝামাঝি বরিশাল সিটি করপোরেশনের মনোনয়ন নিয়ে বিরোধের পর এই প্রথম প্রকাশ্যে একসঙ্গে দেখা গেল দুজনকে। সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা এ দুজন বিসিসির মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত নৌকা পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন খোকন সেরনিয়াবাত।

২৯ ডিসেম্বর বরিশালে আসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার আগমন সফল করতে শনিবার অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের বরিশাল বিভাগীয় বর্ধিত সভা। এ সভাতেই একত্র হন খোকন-সাদিক। দলীয় সভাপতির জনসভায় ১০ লাখ লোক সমাগমের সিদ্ধান্ত হয় সেখানে।

সিটি নির্বাচনের সময় থেকেই খোকন-সাদিক গ্রুপে ভাগ হয়ে আছে বরিশাল আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচনের পুরো সময় বরিশালে আসেননি সাদিক আব্দুল্লাহ। ভোটে চাচা খোকনের বিরুদ্ধে কাজ করার অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে। স্বয়ং খোকন নিজেও সে সময় বহুবার ওই অভিযোগ করেন।

নির্বাচনের পর বরিশালে এসে নগর সম্পাদকের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনে মনোনিবেশ করেন সাদিক। দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার পর খোকনও নেমে পড়েন নগর উন্নয়ন কাজে। তবে সব স্বাভাবিক মনে হলেও দুপক্ষের বিরোধের আঁচ ঠিকই উত্তাপ ছড়াতে থাকে নগরে। পালটাপালটি দলীয় কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে এর জানান দিতে থাকেন। এভাবে রেখেঢেকে চলা বিরোধের বিস্ফোরণ ঘটে শেখ হাসিনার বরিশালে আসার কর্মসূচি ঘোষণার পর।

কর্মসূচি সফলে বুধবার স্থানীয় সার্কিট হাউজে বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগ নেতারা। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা মঞ্চে যাতে সাদিককে উঠতে দেওয়া না হয় তার দাবি জানান বরিশাল-৫ আসনের এমপি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামিম। তার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করে সাদিক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

স্থানীয় রাজনীতিতে মেয়র খোকনের ঘনিষ্ঠ জাহিদের এ দাবির পাশাপাশি সাদিক অনুসারী নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীরকেও মঞ্চে উঠতে না দেওয়ার দাবি ওঠে। এ খবর ছড়ালে আবারও উত্তেজনা দেখা দেয় দুপক্ষে। এছাড়া গত এক সপ্তাহে জাহিদ ও সাদিক অনুসারীদের কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হন দলের অন্তত ১১ নেতাকর্মী।

চাচা-ভাতিজার এ বিরোধের মধ্যেই শনিবার নগরের বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ বিশেষ বর্ধিত সভা। বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন এমপি, বিসিসি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত ও সাবেক মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহ।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং সদ্য আওয়ামী লীগে আসা শাহজাহান ওমরসহ বরিশাল বিভাগের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রায় সব এমপি, জেলা-উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক, জেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং পৌর মেয়ররা উপস্থিত ছিলেন।

সঞ্চালনা করেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি তালুকদার মো. ইউনুস। সভায় বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনি জনসভা সফলে প্রয়োজনীয় নানা বিষয় আলোচনা হয়। সবাই একমত হন, সমাবেশে ১০ লাখ লোক সমাগমের টার্গেট নিয়ে কাজ করবেন নেতাকর্মীরা।

সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফলে একটি কমিটি গঠন করেন। আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহকে প্রধান সমন্বয়ক করা হয়। এছাড়া সমন্বয়ক করা হয় খোকন সেরনিয়াবাত, জাহিদ ফারুক, একেএম জাহাঙ্গীর, দলের জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার এবং সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে। যোগাযোগ ও আপ্যায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তালুকদার মো. ইউনুস এবং লস্কর নুরুল হককে।

এছাড়া কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব উদ্দিন আহম্মেদ বীরবিক্রম, নগর সভাপতি একেএমএ জাহাঙ্গীর এবং নগর সহসভাপতি আফজালুল করিমকে শৃঙ্খলা কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়।